২ দিন ব্যাপী “Youth Entrepreneurship & Startups for Students (YESS)” এর Follow-Up Workshop
চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিডব্লিউসিসিআই) এর সহযোগিতায় ও এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ইয়ুথ এন্টারপ্রেনারশিপ এন্ড স্টার্টআপস ফর স্টুডেন্টস (ইয়েস) প্রোগ্রামের আওতায় ফলো-আপ ওয়ার্কশপ এর সমাপনী ও সনদ বিতরণী অনুষ্ঠান সিডব্লিউসিসিআই এর সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয়। এসএমই ফাউন্ডেশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক সুমন চন্দ্র সাহা এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিডব্লিউসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট ইন-চার্জ ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবিদা মোস্তফা। প্রধান অতিথি আবিদা মোস্তফা তার বক্তব্যে বলেন, এ কর্মশালায় আপনারা যে ব্যবসার আইডিয়া তৈরি করেছেন, সেটি বাস্তবায়ন করার জন্য কাজে লেগে যাবেন। আর মনে রাখবেন যে সফলতা কখনো সহজে আসে না। অনেক সংগ্রাম আর দীর্ঘদিন অধ্যবসায়ের মাধ্যমে অর্জন করে নিতে হয়। তিনি আরও বলেন, আপনারাই ভবিষ্যত প্রজন্ম যাদের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠিত হবে। আপনাদের নতুনত্ব ও বিভিন্ন উদ্যোগ দেশের অর্থনীতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আর দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই বসে না থেকে আপনারা যার যার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করে দেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সিডব্লিউসিসিআই ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও সিডব্লিউসিসিআই বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারের চেয়ারপারসন লুৎমিলা ফরিদ তার বক্তব্যে বলেন, পরিসংখ্যান অনুসারে বেশিরভাগ স্টার্টআপ ব্যর্থ হলেও উদ্যোক্তারা কখনও ব্যর্থ হয় না। কারণ, ব্যবসা হারতে পারে কিন্তু উদ্যোক্তারা কখনও হারে না। তারা সে হার থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করে আর সামনে এগিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, উদ্যোক্তা হলে অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীনে আসতে হয়। কিন্তু সে তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলোকে কখনও বাধা হিসেবে দেখবেন না, বরং নিজেকে বৃদ্ধি করার জন্য আরেকটি মাধ্যম হিসেবে মনে করবেন। এর ফলে আপনাদের মনোবল শক্ত হবে আর কখনও আশাহত হবেন না। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ জামাল উদ্দিন ও ব্যাংক এশিয়া চট্টগ্রামের হেড অব বিজনেস মোঃ মাইনুল হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠান শেষে ৪৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।