Skip to main content
search

I5I6I2I1I3I4

 

ঢাকাস্থ ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস ও চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (CWCCI) এর যৌথউদ্যোগে আয়োজিত “IMPRINTS OF INDONESIA: BATIK WORKSHOP FOR FUTURE THREADS” শীর্ষক ইন্দোনেশিয়ান বাটিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ২১ মে ২০২৫ তারিখে চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবদের ইছামতি হলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকাস্থ ইন্দোনেশিয়া দূতাবাসের Charge D’Affaires/Acting Ambassador Mr. Arif Suyoko তার বক্তব্যে CWCCI ও প্রশিক্ষণের জন্য তার সাথে থাকা প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার বাটিক হলো প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী কাপড়ের নকশা তৈরির কৌশল, যেখানে মোম ব্যবহার করে কাপড়ে নকশা ও রং করা হয়। এটি বিশেষ করে জাভা অঞ্চলে জনপ্রিয় এবং সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব বহন করে, যার প্রতিটি নকশা ও রঙে আঞ্চলিক ও সামাজিক পরিচয় প্রতিফলিত হয়। তিনি উল্লেখ করেন যে, ২০০৯ সালে ইউনেসকো ইন্দোনেশিয়ান বাটিককে “মানবতার মৌখিক ও অমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। CWCCI এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মনোয়ারা হাকিম আলী তার বক্তব্যে ঢাকাস্থ ইন্দোনেশিয়া দূতাবাসের Charge D’Affaires/Acting Ambassador Mr. Arif Suyoko ও প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের বাটিকের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। তিনি অংশগ্রহণকারী সকল প্রশিক্ষণার্থীকে ভালোভাবে শিখতে বলেন যাতে বাংলাদেশের বাটিকের সাথে ইন্দোনেশিয়ার বাটিক এর সমন্বয় করা যায়। বাংলাদেশে ইন্দোনেশিয়ান বাটিকের সূচনা করার জন্য তিনি প্রশিক্ষককে ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই শিল্পকে শেখার মাধ্যমে তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করতে হবে। CWCCI এর প্রেসিডেন্ট ইনচার্জ ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লুৎমিলা ফরিদ বলেন, এই প্রশিক্ষণ আমাদের নিজেদের বাটিক শিল্পকে আরও আধুনিক ও সমৃদ্ধ করার সুযোগ করে দেবে। তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে প্রশিক্ষক হয়ে আরও নারীদের উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। CWCCI এর ভাইস প্রেসিডেন্ট নিশাত ইমরান Charge D’Affaires/Acting Ambassador Mr. Arif Suyoko ও ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাসের কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, এই কর্মশালাটি অংশগ্রহণকারী নারীদের দৃষ্টিভঙ্গি, সৃজনশীলতা এবং উদ্যোক্তা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি শুধুমাত্র একটি প্রশিক্ষণ নয়, বরং এটি একটি অর্থবহ সাংস্কৃতিক বিনিময় যা তাদের চিন্তা ও কল্পনাকে নতুনভাবে জাগিয়ে তুলবে। প্রশিক্ষক Venny Afwani Alamsyah অনুষ্ঠানে ইন্দোনেশিয়ান বাটিকের ইতিহাস ও প্রক্রিয়া নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন, যেখানে তিনি বাটিক শব্দটির উৎস, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও বিভিন্ন অঞ্চলের বৈচিত্র্যময় শৈলী তুলে ধরেন। প্রশিক্ষণ শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, ইন্দোনেশিয়ান পোশাকে ফ্যাশন শো, গান ও বাটিক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে সকল প্রশিক্ষণার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন CWCCI এর ভাইস প্রেসিডেন্ট শামীম মোর্শেদ, পরিচালক গুলশানা আলী, জেসমিন আক্তার, আয়েশা ফারহা চৌধুরী, নাসরিন সুলতানা চৌধুরী, নূজহাত নূয়েরী কৃষ্টি, বেবী হাসান, চৌধুরী জুবাইরা সাকী জিপসী ও রাহানুমা মরিয়ম তুলি, CWCCI এর প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সদস্য আইভি হাসান, প্রাক্তন পরিচালক ও সদস্য শারমিন হোসাইন, জাহেদা আক্তার মিতা, সাবিনা কাইয়ুম, নাসরিন সরোয়ার মেঘলা ও শামিলা রিমা, CWCCI এর সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষনার্থীবৃন্দ।

Leave a Reply

Close Menu